চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা
চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা এছাড়াও কিভাবে চিয়া সিড খেয়ে কিভাবে ওজন কমানো যায় এসকল তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। চিয়া সিড নিয়ে আমরা বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো।
ভূমিকা
যারা চিয়া সিড নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই পোস্ট। আমরা চিয়া সিড নিয়ে বিস্তারিত আপনাদের জানাবো। চিয়া সিড নিয়ে এ টু জেড জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
চিয়া সিড এর উপকারিতা
চিয়া সিড হলো শস্য উদ্ভিদ মরুভূমিতে জন্মানো এক ধরণের গাছের বীজ। চিয়া সিড দেখতে অনেকটাই তীলের দানার মতো। মেক্সিকোতে ও আমেরিকাতে জন্মানো চিয়া নামক গাছের বীজকে চিয়া সিড বলা হয়ে থাকে।
চিয়া সিড ভাল মানের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার যার মধ্যে রয়েছে কমলার থেকে সাত গুণ ভিটামিন সি, দুধের থেকেও পাচ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কলা থেকেও দ্বিগুণ পটাশিয়াম, শাক থেকেও তিনগুণ বেশি আয়রণ, স্যালমন মাছ থেকেও আটগুণ বেশি ওমেগা-৩, মুরগির ডিম থেকে তিনগুণ বেশি প্রোটিন। এছাড়াও চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্লোবোজেনিক অ্যাসিড ইত্যাদি।
কোলন ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে চিয়া সিড কারণ চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখে। ডায়াবেসিট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য চিয়া সিড খাওয়া জরুরী। পেটের গ্যাস কমাতে ও আরামের জন্য চিয়া সিড খাওয়া প্রয়োজন। চিয়া সিড ক্ষতিকর কলেস্টেরল কমিয়ে দেয় এবং হৃদরোগের ঝুকি কমায়। চিয়া সিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। চিয়া সিডে রয়ে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। চিয়া সিড ক্যান্সার রোধ করে। নক চুল ত্বক সুন্দর রাখে ও শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে চিয়া সিড। এছাড়া শরীরে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। চিয়া সিড হাড় ঠিক রাখে।
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
চিয়া সিড যেমন উপকার করে, তেমন উপকারের পাশাপাশি অপকারো করে। অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড গ্রহণ করলে অপকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চিয়া সিড এর অপকারিতা বা ক্ষতির দিক গুলো আমাদের জেনে রাখা ভালো।
চিয়া সিড অতিরিক্ত গ্রহণ করলে অনেকের এলার্জি দেখা দেয়। ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিড গ্রহণ করা হয় কিন্তু অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ওজন অতিরিক্ত কমে যায় ফলে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। চিয়া সিডে ফাইবার থাকে তাই অতিরিক্ত চিয়া সিড গ্রহণ করলে পেটের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। চিয়া সিড বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে ডায়রিয়া হজমের সমস্যা পেট ফাপা দেখা দেয় এবং চিয়া সিডে প্রোটিন থাকায় অতিরিক্ত গ্রহণে ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেতে পারে পাশাপাশি কিডনীতে চাপ পড়তে পারে। চিয়া সিডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় রক্ত পাতলা হয়ে যায়। চিয়া সিড প্রচুর পরিমাণে খেলে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয় ও শরীরের রক্তচাপ কমায়।
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়মগুলো মেনে চললে আপনি দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন। আপনার শরীরের ওজন যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায়। আপনি যদি শরীরের ওজন দ্রুত কমাতে চান তাহলে দৈনিক সকালবেলা খাবারের পূর্বে ও রাতে ঘুমানোর পূর্বে-
এক গ্লাসে দু চামচ লেবুর রসের সঙ্গে দু চামচ চিয়া সিড আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার মতো ভিজিয়ে রেখে তারপর খাবেন। কিন্তু আপনি যদি ওজন অল্প কমাতে চান তাহলে এক চামচ করে ব্যবহার করতে পারেন।
ওজন কমানোর জন্য কুসুম কুসুম গরম পানিতে চিয়া বীজ ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে অথবা রাতে চিয়া বীজ খেয়ে নিন।
বিভিন্ন ফলের সাথে এক চামচ চিয়া সিড মেশালে অল্পদিনের মধ্যে ওজন কমে আসে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চিয়া বীজ ডাবের পানির সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন।
ফলের জুসের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে খেলে ওজন কমে যায়।
চিয়া সিড খাওয়ার সময়
সকালবেলা চিয়া সিড খাওয়াটাই উত্তম। সারারাত চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রাখলে সকালে উঠে লেবুর রসের সাথে সঠিক পরিমাণে চিয়া সিড মিশিয়ে খেলে ওজন কমবে। চিয়া সিড সকলে খেলে দ্রুত সমাধান আসে এবং ভালো কাজ করে।
চিয়া সিড এর বাংলা নাম
চিয়া সিড এর বাংলা নাম চিয় বীজ যা Saluia Hispanica প্রজাতির এক ধরণের গাছের বীজ। চিয়া বীজ বেশিরভাগ পাওয়া যায় আমেরিকাতে এবং চিয়া বীজের জন্ম হয় বেক্সিকোতে। চিয়া বীজকে মানুষ ভেষজ নামেও চিনে থাকে।
চিয়া সিড কতসময় ভিজিয়ে রাখতে হয়
আজ আমরা জানবো চিয়া সিড কতসময় ভিজিয়ে রাখতে হয়। দুই চামচ চিয়া সিড একটি বয়োমে রেখে হাফ কাপ পানি মেশাতে হবে। এরপর ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর বয়োম ভালমতো ১০ মিনিট পর পর দুবার ঝাকিয়ে নিতে হবে। ব্লেন্ডার মেশিন দিয়ে ব্লেন্ড করে খেতে হবে।
উপসংহার
আজকে আমরা আর্টিকেল থেকে জানতে পারলাম চিয়া সিড কি। চিয়া সিড এর উপকারিত ও অপকারিতা। চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও বিস্তারিত। আর্টিকেল ভাল লেগে থাকলে মন্তব্য করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url