ভিটামিন ডি কি কি খাবারে আছে । ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা

ভিটামিন ডি আয়রণ ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাসকে দ্রবীভূত করে। ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের হাড় বাড়তে থাকেনা, হাড় নরম ও বাকা হতে থাকে। এছাড়াও বেশী বয়সী মানুষদের গাড় নরম হয় ও ব্যাথা শুরু হয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় ক্ষয় হতে থাকলে শরীর ব্যাথা শুরু হয়, পিঠে ব্যাথা শুরু হয়।

সূর্যের আলোতে রয়েছে ভিটামিন ডি, তাই সূর্যের আলোর তাপেও ভিটামিন ডির অভাব পূরণ হয়। গবেষকদের মতে, কোন কোন খাদ্যে ভিটামিন ডি আছে এবং ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণের জন্য কিছু খাদ্যতালিকা রয়েছে, যা ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করে দিবে ও শরীর সুস্থ রাখবে।

স্যালমন, ম্যাক্রেল ইত্যাদি চর্বিযুক্ত মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। তাই এসব চর্বিযুক্ত মাছ বেশি করে খাওয়া উচিত।

কড মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ডি। কড মাছের তেল হাড়ের স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। এছাড়াও কড মাছের তেল রিকেটস রোগ নিরাময়ে ভূমিকা পালন করে। যারা মাছ খেতে পারেনা তারা কড লিভার ওয়েল ঔষধ হিসেবেও খেতে পারে।

ডিমের কুসুমে ৩৭ আইইউ ভিটামিন ডি থাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ডিম রাখলে ভিটামিন ডি এর অভাব অনেকাংশে পূরণ হয়ে যাবে। তবে যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগছেন তাদের ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হতে হবে।

টুনা মাছ সামুদ্রিক মাছ। ক্যানজাত টুনামাছে থাকে ২৬৯ আইইউ ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করে দেয়। টুনা মাছের স্যান্ডউইচ ভিডামিন ডি এর চাহিদার ৫০ শতাংশ পূরণ করে দেয়।

মাশরুমে থাকে ভিটামিন ডি২। মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। চাষ করা মাশরুমে ভিটামিন ডি২ এর পরিমাণ বেশি থাকে। মাশরুম রক্তে ভিটামিন ডি২ এর উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। তাই বেশি করে মাশরুম খাওয়া প্রয়োজন।

ভালো ব্র্যান্ডের কমলার জুসে রয়েছে ভিটামিন ডি। জুস খাওয়ার আগে দেখে নিন কি কি উপাদান দিয়ে জুস তৈরী।

গরুর মাংসের লিভারে ও দুধে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই গরুর মাংস ও দুধ খেতে পারেন।