হাত পা চাবানোর চিকিৎসা
হাত পা ব্যাথা বা চাবানো একটা সাধারণ সমস্যা। সারাদিন কাজ করে দিন শেষে ক্লান্তিভাব। পা টনটন করে ও চাবানো কামড়ানো শুরু হয়। রাতে দিকে হাত পা ব্যাথা বেশি বেড়ে যায়। ব্যাথার জন্য রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। ব্যাথার তীব্রতা বেরে গেলে পেশী শক্ত হয়ে যায়। হাত পা চাবায় কেন ও হাত পা চাবালে এর প্রতিকার আমরা জানতে পারবো।
হাত পা চাবায় কেন
বিভিন্ন কারণে হাত পা জালাপোড়া ও চাবানো শুরু হয়। কোন সমস্যার জন্য হাত পা চাবায় এবং কেন চাবায় এর কারণ বিস্তারিত নিন্মে উল্লেখ করা হলোঃ-
ঋতু পরিবর্তন- ঋতু পরিবর্তন হলে হাত পা ব্যাথা শুরু হয় অনেকের। গ্রীষ্মকালে ভিটামিন ডি এর মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। সর্বোচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ডি পৌছলে ব্যাথা বা হাত পা চাবানো শুরু হতে পারে।
পানিশূণ্যতা- পানিশূণ্যতা দেখা দিলে অনেকের হাত পা ব্যাথা শুরু হয়। পানিশূণ্যতার জন্য রক্তে ইলেকট্রোলাইটের তারতম্য দেখা দিলে হাত পা চাবায় ও ব্যাথা শুরু হয়।
পুষ্টির অভাব- পুষ্টির অভাবে হাত পা চাবায় ও ব্যাথা শুরু হয়। ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ও অন্যান্য ভিটামিন পরিমাণমতো খেলে কিংবা পুষ্টির পূর্ণতা থাকলে হাত পা ব্যাথা শুরু হবেনা বা চাবাবেনা।
বয়স- বয়স পঞ্চাশ পার হতে থাকলে স্নায়ু নষ্ট হতে থাকে। ফলে হাত পা চাবানো ও ব্যাথা শুরু হয়। ব্যাথার পরিমাণ জটিলতার দিকে পৌছায়।
অতিরিক্ত ব্যায়াম- অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে পায়ের উপর চাপ পরে ব্যাথা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
গর্ভের সময়- গর্ভবতী মহিলাদের রক্তসঞ্চালনায় সমস্যা হলে ওজন বৃদ্ধি পায়। ওজন বৃদ্ধি পেলে হাত পা ব্যাথা শুরু হতে থাকে।
দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকা- দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকলে রক্ত জমতে থাকে ও তরলের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে পা চাবানো শুরু হয়। রোদে দাড়িয়ে থাকার ফলে লবণের পরিমাণ কমতি দেখা দেয়, ফলে পা ব্যাথা ও চাবানো শুরু হয়।
রোগ- ডায়াবেটিস এর সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘমেয়াদী রোগ থেকেও ব্যাথা শুরু হয়। তাছাড়া ধূমপান করলে এবং হতাশাজনিত সমস্যার জন্যও ব্যাথা শুরু হতে পারে।
রক্তপ্রবাহ কম- মাংসপেশীতে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে হাত পা ব্যাথা ও কামড়ানো বাড়তে পারে।
হাত পা কামড়ানো কমানোর উপায়
প্রতিদিন পর্যাপ্তপরিমাণে ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে। শিমের বিচি, বাদাম, সবুজ পাতাযুক্ত শাক বেশি করে খেতে হবে। হাত পা কামড়ানো কমানোর জন্য ভিটামিন বি খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে যাতে পানিশূন্যতা না হয়। গলা শোকিয়ে যাওয়া, ক্লান্তি ভাব, মাথা ব্যাথা পানিশূন্যতার প্রধান লক্ষণ। প্রস্রাবের রং হলুদ হলে বুঝতে হবে পানিশূন্যতা। তাই বেশি করে পানি পান করতে হবে। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের নিয়মিত বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যাতে পানিশূন্যতা না হয় এবং হাত পা যাতে না কামড়ায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url