মৌমাছির কামড়ের ঘরোয়া চিকিৎসা । মৌমাছি কামড়ালে কি লাগাতে হয়
মৌমাছির কামড়ের ঘরোয়া চিকিৎসা থাকায় দ্রুত নিরাময় হচ্ছে। মৌমাছির হুল বিষাক্ত থাকায় মৌমাছি কামড়ের আক্রান্ত জায়গায় ব্যথা ও এলার্জি রাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মৌমাছির হুল খুবই যন্ত্রণাদায়ক তবে ভয়ের কোন কারণ নেই। মৌমাছি কামড়ালে কি হয়, মৌমাছি কামড়ালে কি লাগাতে হয়, মৌমাছি কামড়ালে চুন দেয় কেন, মৌমাছির হুল বের করার উপায়, মৌমাছি কামড়ের ঔষধ, মৌমাছি কামড়ের উপকারিতা সহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে পারবেন। মৌমাছি কামড়ের অনেক ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে নিরাময়ের জন্য।
মৌমাছির কামড়ের ঘরোয়া চিকিৎসা । মৌমাছি কামড়ালে কি লাগাতে হয়
মৌমাছি কামড়ের আক্রান্ত স্থানে বেকিং সোডা ও ভিনেগার লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। তাহলেই মৌমাছি কামড়ের হুলের ব্যথা ও যন্ত্রণা দূর হয়ে যাবে দ্রুত।
মৌমাছি কামড়ালে খুব দ্রুত আক্রান্ত স্থানে রসুন ছেচে লাগিয়ে কাপড় দিয়ে পেছিয়ে দিতে হবে। তাহলেই যন্ত্রণা ব্যথা দ্রুত সমাধান হবে।
মৌমাছি কামড়ের যন্ত্রণা শুরু হওয়ার সাথে সাথে আক্রান্ত স্থানে টুথপেষ্ট লাগাবেন। তাহলেই ব্যথা ও যন্ত্রণা নিরাময় হয়ে যাবে।
মৌমাছি কামড় দেয়ার পড় যদি রক্তক্ষরণ হতে থাকে তাহলে দ্রুত আক্রান্ত ক্ষতস্থানে বরফ চেপে ধরুণ। তাহলেই রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে ও জ্বালাপোড়া কমে যাবে।
চা গাছের তেল হচ্ছে এন্টিসেপটিক যা মৌমাছি কামড়ের ব্যাথা কমিয়ে দেয় ও প্রতিরোধ করে। তাই মৌমাছি কামড়ালে চা গাছের তেল লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।
অ্যালোভেরার জেল মৌমাছির কামড়ের আক্রান্ত স্থানে লাগালে কিছুটা উপশম হয়। তাই মৌমাছি কামড় দিলে অ্যালোভেরার জেলটি লাগাতে পারেন।
মৌমাছি কামড়ালে কি হয়
মৌমাছি কামড়ালে ক্ষতস্থানে ব্যথা লালভাব জ্বর এমনকি এলার্জি প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ও মুখ ফুলে যায়। এলার্জি প্রতিক্রিয়া থাকলে বমি বমি ভাব, ডাইরিয়া, পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে। অনেকেই চেতনা হারিয়ে ফেলে মৌমাছি কামড়ালে।
মৌমাছির হুল বের করার উপায়
মৌমাছির কামড় খুবই যন্ত্রণাদায়ক তবে ভয়ের কোন আশঙ্কা নেই। মৌমাছির হুল বের করার জন্য কিছুু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। মৌমাছি খামচে সড়াতে গেলে মৌমাছির বিষের থলি থেকে বিষ বেরিয়ে আপনার শরীরে লাগতে পারে তাই মৌমাছি সবসময় ঠেলে সড়াতে হবে। মৌমাছি কামড় দিলে আক্রান্ত জায়গা লাল হয়ে থাকে তাই বরফের টুকরো দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ছ্যাক দিন বরফ চেপে ধরে রাখুন। ব্যাথা হওয়ার আগেই প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলুন ও পাশাপাশি এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খাবেন তাহলেই সুস্থতার দিকে থাকবেন। মৌমাছি হুল ফোটানোর পর বমি বমি ভাব, ডাইরিয়া, পেটে ব্যথা, এলার্জি, হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে।
মৌমাছি কামড়ের ঔষধ
মৌমাছি কামড়ালে আক্রান্ত স্থানে প্রথমে বরফ চেপে ধরে রাখুন। তারপর ব্যথা যাতে না বাড়ে তারজন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে হবে ও এন্টিহিস্টামিন ঔষধ খেতে হবে যেমন- ফেক্সোফেনাডিন, রুপাটাডিন, বিলাস্টিন, ইবাস্টিন, সেটিরিজিন, লিভোসেটিরিজিন, ডেসলোরাটাডিন যেকোন একটি। মৌমাছির কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা সুস্থদার দিকে না পৌছতে পারলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ খেতে হবে।
মৌমাছি কামড়ালে চুন দেয় কেন
মৌমাছি কামড়ালে মানবদেহে মৌমাছির বিষ প্রবেশ করে যার আরেক নাম ফরমিক এসিড বা মিথানয়িক এসিড। এই বিষ প্রশমনের জন্য চুন দেয়া হয়। চুন প্রয়োগ করলে ব্যাথা কিছুটা কমার দিকে যায়। কিছুটা সুস্থতা কামনা করা যায়।
মৌমাছির কামড়ের উপকারিতা
মৌমাছির কামড় ও মৌমাছির বিষে রয়েছে অনেক উপকারিতা। মৌমাছির বিষে অ্যাপিটক্সিন নামক উপাদান থাকায় দ্রুত ব্যাথা সারাতে সাহায্য করে। আর্থ্রাইটিস ও টেনডোনাইটিস এর মতো দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথা উপশম করে মৌমাছির কামড়। এছাড়া আঘাতজনিত সৃষ্ট ব্যথা মৌমাছির বিষের মাধ্যমে সেরে যায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url